Breaking

Friday, November 16, 2018

সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান?

সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান?
সুইডেন নামটি শুনলেই আমাদের মাথায় একটি জিনিস ঘুরপাক খায়, সেটি হচ্ছে নোবেল পুরস্কার। বাল্টিক সাগরের পশ্চিমে অবস্থিত উত্তর ইউরোপের এই দেশটি পরিচিত শান্তি এবং উদ্ভাবনের জন্য। মাত্র ১০ মিলিয়ন জনসংখ্যার এই দেশ ভলভো, স্ক্যানিয়া, এরিকসন, IKEA এবং H& M সহ আরো অনেক বড় বড় কোম্পানির উৎপত্তিস্থল। এখানকার পড়াশোনা এবং গবেষণার মানও সুপরিচিত বিশ্বজুড়েই। অনেকেই সুইডেনে পড়তে যেতে চান কিন্তু বুঝতে পারছেন না কীভাবে শুরু করবেন। তাদের জন্যই আজকের এই লেখাটি, মূলত স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে।

সুইডেনে কাগজে কলমে দুটি সেমিস্টারের কথা বলা থাকলেও বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করায় আগস্ট সেশনে। ২০১৮ সালের আগস্ট সেশনের জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৫ অক্টোবর থেকে। তাই এখনই সময় আগস্ট সেশনের জন্য আবেদন করার।
IELTS লাগে কিনা?
সুইডেনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েই স্নাতকোত্তর কোর্সের শর্ত হচ্ছে IELTS এ ৬.৫ বা তার বেশি স্কোর হতে হবে। তবে আপনার স্নাতক ডিগ্রির পড়াশোনা যদি ইংরেজি মাধ্যম হয়ে থাকে, তাহলে IELTS ছাড়াও ভর্তির সুযোগ পাওয়া যায়। তবে IELTS ছাড়া সুযোগ থাকলেও ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা একটু কম থাকে। তাই IELTS দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

টিউশন ফি কত এবং স্কলারশিপ আছে কিনা?
টিউশান ফি বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। তবে তা বছরে সর্বনিম্ন ৭ লাখ বা তার থেকে বেশি হয়। সুইডেনে দুই ধরনের স্কলারশিপ আছে। একটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিউশান ফি স্কলারশিপ এবং আরেকটি হচ্ছে সুইডিশ সরকার থেকে, যেটি SI স্কলারশিপ নামে পরিচিত। SI স্কলারশিপের জন্য সর্বনিম্ম ৩,০০০ ঘণ্টা কাজের অভিজ্ঞতা লাগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশান ফি স্কলারশিপের জন্য আপনাকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইট থেকে ভালো করে প্রক্রিয়া বুঝে নিয়ে আবেদন করে ফেলুন।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট
যদি আপনার কোর্স হয় এক বছরের, তবে আপনাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ লাখ টাকা দেখাতে হবে। দুই বছরের কোর্সের জন্য ১৬ লাখ টাকা দেখাতে হবে। ব্যাংক একাউন্ট হতে হবে আপনার নামে, মানে, আপনার বাবা-মা পর্যন্ত আপনার স্পন্সর হতে পারবে না। সাধারণত ব্যাংকে এই টাকা ভিসা আবেদন করার ৩ মাস আগে জমা দিলেই হয় এবং রাখতে হবে ভিসা না পাওয়া পর্যন্ত। টাকার উৎস দেখতে চাওয়া হয় না, সুতরাং এটি নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই। তবে আপনার সাথে যদি স্বামী/স্ত্রী-সন্তান নিয়ে যেতে চান, তাহলে ব্যাংকে আরো বেশি টাকা দেখাতে হবে।

পরিবার সহ যাওয়া যাবে?
হ্যাঁ, সুইডেন এ কারণেই বিবাহিতদের প্রথম পছন্দ। আপনি চাইলে আপনার স্বামী/স্ত্রী এবং বাচ্চাদেরকে নিয়ে যেতে পারবেন। আবেদনকারীর স্বামী/স্ত্রীও চাকরি করতে পারবে, এজন্য আলাদা কোনো অনুমতির দরকার হবে না এখানে। এমনকি স্বামী/স্ত্রী চাইলে পড়াশোনাও করতে পারবে, তা-ও ফ্রি-তে! এজন্য কোনো টিউশন ফি দিতে হবে না।
পড়াশোনা শেষে থাকা যাবে কিনা?
পড়াশোনা শেষ করার পর আপনি চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে ভিসা বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ৬ মাসে আপনি যদি ফুলটাইম চাকরি পান, তবে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ২ বছরের ভিসা দেয়া হবে। তাছাড়া আপনি যদি এক সেমিস্টার শেষ করেন মানে ৩০ ক্রেডিট শেষ করার পর ফুল টাইম কাজের অফার পান, তাহলে আপনি শিক্ষার্থী ভিসা থেকে কাজের ভিসায় যেতে পারবেন।
পার্ট টাইম চাকরি
আপনি যদি বড় শহরগুলোর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন, যেমন মালমো, স্টকহোম, গোটেনবার্গ, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি চাকরি পেয়ে যাবেন। মাঝারি শহরগুলোতেও চাকরি পাওয়া যায়, তবে একটু সময় লাগে। পার্ট টাইম চাকরি করার জন্য কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। আপনি চাইলে পড়াশুনার পাশাপাশি ফুল টাইম চাকরিও করতে পারেন।

যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
১৬ অক্টোবর, ২০১৭- অনলাইনে সার্ভিস খোলা হয়।
১৫ জানুয়ারি- আবেদনের শেষ দিন।
১ ফেব্রুয়ারি- আবেদন ফি এবং যাবতীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
৬ এপ্রিল- আপনি নির্বাচিত হয়েছেন কিনা, সেটি এই তারিখে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

দ্রষ্টব্য এটি শুধুমাত্র প্রকৃত শিক্ষার্থীদের জন্য যারা সত্যিই বিদেশ থেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে আগ্রহী। আবেদনকারীরা দৃঢ়ভাবে আমাদের অফিসে :
 সরাসরি যোগাযোগ বা মৌলিক তথ্যের জন্য ফোন 01911878274 এ সরাসরি যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়। যদি আপনি আরও যেতে চান তবে পাসপোর্ট সহ আপনার সমস্ত অ্যাকাডেমিক নথির সাথে আমাদের অফিসে যান।

সানরাইজ এডুকেশন কন্সালটেন্টস
ফোন: 01911878২74; 01707272625
ইমেইল: info@sunrise-bd.net
ওয়েবসাইট: www.sunrise-bd.net

No comments:

Post a Comment